এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার জন্য যা কিছু করণীয় :
# একটা প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট তৈরি করা উচিৎ। লক্ষ রাখতে হবে বিজিটরা যেন আপনার
সাইট থেকে কিছু শিখতে পারে বা কিছু বিশেষ সুবিধা পায়।
# ব্যক্তিগত কৌশল, সৃজনশীলতা দ্বারা
ভিজিটরদের আকৃষ্ট করা উচিৎ। অর্থাৎ সাইটে এমন ভাবে ব্যাক্তিগত উদ্দোগ, কার্যকলাপ, কনটেন্ট এবং মতমত
উপস্থাপন করতে হবে যাতে করে
ভিজিটররা বারবার ফিরে আসে।
# একটা সুপ্রতিষ্ঠিত এবং পরিচিত এফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করা উচিত। তাদের ট্রাকিং সিস্টেম এবং পেমেন্ট সিস্টেম
সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিৎ, যা অপনাকে আপনার প্রাপ্য কমিশন অর্জনের বিষয়টিকে
নিশ্চিৎ করে।
# এমনভাবে এফিলিয়েট প্রোগ্রামকে মার্কেটিং করা উচিৎ যেন আপনার ভিজিটরদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক
ভিজিটর যেন বিষয়টির উপর আগ্রহ এবং প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
# সাইটকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র্যাংকিং পাওয়ার জন্য অপটিমাইজেশনের
বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিৎ।
# সবসময় প্রতিযোগিতা সম্পর্কে তথ্য জানতে হবে এবং বিজ্ঞাপনে ভাল কিছু পণ্য
এবং সেবা সরবরাহ করতে হবে।
# বিজ্ঞাপনের জন্য এমন একটা মডেল নির্বাচন করা প্রয়োজন, যা আপনার সমগ্র বিজনেস মডেলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
# কোন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণের বেশ কিছুদিন আগেই সাইটটিকে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এছাড়া ভাল এফিলিয়েট
প্রোগ্রাম সমূহে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে কতৃপক্ষ সাইট দেখে এবং সাইটের ভিজিটর সম্পর্কিত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে তারপর এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত
করে থাকে।
# দ্রুত সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত কাজের জন্য কিছু ভাল এবং দক্ষ লোক নিয়োগ
করা উচিৎ।
# ব্লগ এবং আর এস এস ফিড অগ্রগতিতে বিশেষ ভুমিকা রাখে, তাই এগুলো ব্যবহার করা উচিৎ।
# সর্বদা সাইটকে কার্যকর রাখতে হবে, নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করতে হবে এবং নিজের সংযুক্তি এবং যোগাযোগ প্রমান করতে
হবে।
# সর্বদা ভিজিটর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং নতুন নতুন এবং
সময়োপযোগী বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার জন্য যা কিছু করণীয় নয়:
যে কোন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা। কারণ এমন অনেক এফিলিয়েট
প্রোগ্রাম আছে যেগুলোতে অংশ গ্রহণ করে আপনি প্রতারিত হতে পারেন।
প্রতিযোগিতা পর্যক্ষেণ না করা। আপনি যদি আপনার পণ্য সম্পর্কে মূল্যায়ন না করেন
তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না যে কি ধরণের পণ্য সামগ্রী আপনার ভিজিটররা বেশি পছন্দ করে, আর অপনার সাফল্য অর্জন বিলম্বিত হবে।
নিয়মিত সাইট আপডেট না করা। আপনি যদি নিয়মিত সাইটে সময় না দেন, কনটেন্ট আপডেট না করেন এবং ভিজিটররা প্রয়োজনীয় নতুন কোন তথ্য না পায় তাহলে ভিজিটর সংখ্যা কমে যাবে এবং আপনার কমিশন প্রাপ্তির সম্ভাবনাও হ্রাস পাবে।
শুধুমাত্র ব্যানার এড এর উপর নির্ভর করা। আপনার উচিৎ সকল ধরণের
বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে আপনার সাইটের জন্য বিশেষ কার্যকর মডেল নির্বাচন করা।
সময় অপচয় করা এবং উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ না করা
। যে কোন ধরণের সুযোগকে প্রথম থেকেই কাজে লাগানো উচিৎ এবং সেজন্য পয়োজনীয়
বিনিয়োগ করা উচিৎ।
স্পামিং এর জন্য উৎসাহিত করা। এ কাজটি করলে আপনার
ব্লাকলিস্টেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গ্রাহক বা ভিজিটরদের প্রয়োজনীয়তা সঠিকভাবে পর্যালোচনা করে একটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে, পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপের মাধ্যমে মেধা, শ্রম, এবং সৃজনশীলতাকে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগাতে পারলেই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়া সম্ভব।
………………………………………………………………………………….
আজ এখানেই শেষ করছি। আপনাদের কাছেও যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত কোন বিশেষ অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলে মন্তব্য প্রদানের মাধ্যমে আমাদের
সাথে শেয়ার করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন